thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে 24, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ৮ জিলকদ  1445

ঢাবির ঐতিহাসিক বটতলায় পতাকা উত্তোলন

২০১৭ মার্চ ০২ ১৮:০০:০০
ঢাবির ঐতিহাসিক বটতলায় পতাকা উত্তোলন

ঢাবি প্রতিনিধি : ১৯৭১ সালের ২ মার্চ বাংলাদেশের উত্তাল দিনে তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বটতলা সংলগ্ন কলাভবনে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন হয়। তার ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয়বারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন দিবস পালন এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন সংলগ্ন বটতলা প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে পতাকা উত্তোলন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক । এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ প্রমুখ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ১৯৭১ সালের সেই অনভূতি সেই উপলব্ধি আমরা যতভাবেই বলার চেষ্টা করি সেটা আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। সেটা আমাদের মনের মধ্যে আছে। আমরা যখন জাতীয় সংগীত শুনি তখন চোখের পানি সংবরণ বরা কষ্টকর।

পতাকা উত্তোলনের সময় কিছু শিক্ষার্থীর ছবি তোলা অমনোযোগিতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সময়ের পরিবর্তন ঘটে ১৯৭১ থেকে ২০১৭ আমরা আমাদের তরুণদের মাঝে সেই অনুভূতি কতটুকু দিতে পেরেছি তা আমার নিজেরও সংশয় আছে। একটু আগেই আমরা দেখলাম আমরা যখন জাতীয় সংগীত গাইছিলাম, তখন আমরা দেখলাম আমাদের স্নাতক স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রীরা যারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সমাবর্তনের জন্য। সমাবর্তনের জন্য একাডেমিক গাউন পড়েছে তারা আনন্দ উল্লাস করবে, ছবি তুলবে সবই ঠিক আছে কিন্তু জাতীয় সংগীত যখন পরিবেশন করা হয় তখন জাতীয় সংগীতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এটি আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব নাগরিক দায়িত্ব। এই দায়িত্ব যে অবহেলা করবে সে বাংলাদেশের সুনাগরিক কিনা সেটা আমাদের বিবেচনা করার দরকার আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এইসব বিষয়গুলোতে তার অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। আমি দেখলাম যে জাতীয় সংগীত পরিবেশন হচ্ছে। সবাই আমরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করছি। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী তারা সেই সময় জাতীয় সংগীতের প্রতি কতটা মনোযোগ দিয়েছে আমার সংশয় আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যতদিন আমরা থাকি ৪-৫ বছর প্রতিদিন আমাদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমেদ এর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে দেশের গান নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/মার্চ ০২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর