thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ৭ জিলহজ ১৪৪৫

তিস্তার ভাঙ্গনে গাইড বাঁধে আশ্রয় নেয়াদের দুর্ভোগ চরমে

২০১৭ আগস্ট ১৮ ১০:৫১:২২
তিস্তার ভাঙ্গনে গাইড বাঁধে আশ্রয় নেয়াদের দুর্ভোগ চরমে

নীলফামারী প্রতিনিধি : তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের কবলে পরে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার বসতভিটা ও বাড়ীঘর হারিয়ে তিস্তার ডাঁন তীরে পাউবো’র গাইড বাঁধে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। উজানের ঢলে ও ভারী বর্ষণের ফলে প্রায় ৫ সহস্রাধিক পরিবার সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পরেছিলো।

তিস্তার পানি নেমে গেলেও বসতভিটা-মাটি হারিয়ে নিরুপায় হয়ে পরিবারগুলির গাইড বাধে আশ্রয় নিয়েছে। গাইডবাধে আশ্রয় নেওয়া অনেকগুলো পরিবারগুলো বাড়ীতে ফিরলেও এখনও শতাধিক পরিবার রয়ে গেছে সেখানে।

সরজমিনে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব ও উত্তর খড়িবাড়ী গ্রামের গাইড বাধে গিয়ে দেখা যায়, এসব পরিবারে সদস্য পলিথিন দিয়ে ঘর বানিয়ে কেউবা খোলা আকাশের নিচে স্ত্রী ছেলে মেয়েদের নিয়ে বসবাস করছেন।

নীলফামারীর ডিমলার টেপাখড়িবাড়ী ইউপি’র উত্তর ও পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামের তিস্তা রক্ষা স্বপন বাঁধের প্রায় ১ হাজার মিটার নদী গর্ভে বিলীণ ও মসজিদ পাড়া গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন স্বপন বাধটি ভেঙ্গে গিয়ে ৪টি পরিবারের অবকাঠামো পানির প্রবল স্রোতে ও ভাঙ্গনের কবলে পড়ে তলিয়ে যায়। ফলে পরিবারগুলি নি:শ্ব হয়ে পড়ে।

তিস্তাপারে দেখা যায়, তেলির বাজারের উত্তর ও পূর্বে ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলি আশ্রয় নিয়েছে গাইড বাঁধে। দ্রুত তিস্তার পানি নেমে যাওয়ায় ভাঙ্গন আতঙ্গে পরেছে তিস্তারপারের মানুষ। টানা ভারীবর্ষনসহ অব্যাহত বৃষ্টিপাত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়ে এ অঞ্চলের মানুষজন।

বাঁধটি পানির তোড়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় ইলিয়াছ উদ্দিন (৬১) ৩ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা বসত বাড়িটি তলিয়ে যায়। ফলে স্বর্বশান্ত হয়ে পড়েছে পরিবারটি। ভেঙ্গে যায় উক্ত এলাকায় জাকারিয়া (৩৬), বারেকসহ প্রায় ৮টি পরিবারের বাড়ী-ঘর।

ভাঙ্গনের শিকার পরিবারের সদস্যরা কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে যান বলেও জানান ইলিয়াছের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম।

বন্যা কবলিত এলাকায় টিউবয়েল ও লেট্রিনের সংকটসহ দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি কাশি, আমাশয়, ডায়নিয়াসহ নানা রোগ। বিশেষ করে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সারোয়ার আলম বলেন, বন্যায় প্লাবিত ও নদী ভাঙ্গন এলাকায় জরুরি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত রয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে।

ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন জানান, ভাঙ্গন কবলিত স্বপন বাঁধটি দ্রুত সংস্কার করা হবে। জেলা ত্রানও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান জানান, তিস্তায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য ৯৩ মেট্রিকটন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৪শ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে আরও বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার তিস্তার পানি বিপদসীমার ৬৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ডালিয়ার পাউবো কর্তপক্ষ জারি করে রেট এলার্ট।

(দ্য রিপোর্ট/এআরই/আগস্ট ১৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর